বাইডেনের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন অরুণাভ মজুমদার
জো বাইডেনের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন বঙ্গসন্তান অরুণাভ মজুমদার। মার্কিন মিডিয়ায় এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
একটি নয়, অ্যামেরিকার তিনটি প্রধান সংবাদপত্রের খবর, জো বাইডেন মন্ত্রিসভায় সম্ভবত থাকবেন অরুণাভ মজুমদার, মার্কিন প্রবাসী বঙ্গসন্তান। তিনি অবশ্য অরুণ মজুমদার নামেই বেশি পরিচিত। নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য স্ট্যানফোর্ড ডেইলি জানিয়েছে, বাইডেনের মন্ত্রিসভায় অরুণ মজুমদারের থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের খবর, অরুণ মজুমদার এনার্জি বা শক্তি মন্ত্রী(অ্যামেরিকায় বলা হয় সেক্রেটারি বা সচিব) হতে পারেন।
অরুণ মজুমদার যদি বাইডেন মন্ত্রিসভায় থাকেন, তা হলে বাঙালির টুপিতে সাফল্যের নতুন আরেকটি পালক যুক্ত হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের বাইরে কোনো দেশে এখন কোনো বাঙালি মন্ত্রী নেই। যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টি ভোটে জিতলে হয়তো শামি চক্রবর্তী মন্ত্রী হতে পারতেন। লেবার জেতেনি। ফলে তাঁরও মন্ত্রী হওয়া হয়নি। এই অবস্থায় অ্যমেরিকায় অরুণ যদি মন্ত্রী হতে পারেন, তা হলে তা অবশ্যই এক বঙ্গসন্তানের বড় কৃতিত্ব হিসাবে চিহ্নিত হবে।
অরুণের যোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। বম্বে আইআইটি থেকে পাস করে তিনি চলে যান ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখন তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেটিরিয়াল সায়েন্সের অধ্যাপক। সেই সঙ্গে প্রকোর্ট ইনস্টিটিউট অফ এনার্জির সহ অধিকর্তা। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁকে অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রোজেক্ট এজেন্সি-এনার্জি (এআরপিএ-ই)-র প্রতিষ্ঠাতা অধিকর্তা করেছিলেন। তিনি বাইডেনেরও এনার্জি বিষয়ক উপদেষ্টা। তাঁর মতামতের উপর বাইডেন যথেষ্ট ভরসা করেন।
ওয়াশিংটন পোস্টের মতে, তিনি দুই দলের কাছেই জনপ্রিয়। তাই তিনি এনার্জি মন্ত্রী হলে সেনেটের অনুমোদন পাওয়া সোজা হবে। তাই তিনি এনার্জি মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে। তবে ভাবী এনার্জি মন্ত্রী হিসাবে আরো তিনজনের নাম নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।DW